ফেসবুক মেটা কি? | মেটাভার্স কি? | What is Facebook Meta? | A Monkey Tech

 

ফেসবুক মেটা কি? | মেটাভার্স কি?




    মেটাভার্স কি?

    ফেসবুক শব্দটা এখন বাংলা ভাষার মধ্যে এক গুরুত্তপূর্ণ শব্দ। যার ব্যবহার পরোতে পরোতে , রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মার্ক জাকারবার্গ এক আজব যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টি করেছেন যা বিশ্ব জুড়েই ব্যবহৃত। তাই এই অতি পরিচিত শব্দটার ব্যবহার বাদ যাবে এমনটা ভাবাই অস্বাভাবিক মনে হয়। এখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ চালু করলেই দেখবেন- মেটা (Meta) লেখা উঠেছে।  কেন, কি কারণে,এই পরিবর্তন আমরা আজকে এটাই জানবো।  


    এককথায় সোজাসাপ্টা - মেটা হচ্ছে একটা কোম্পানির নাম। অর্থাৎ মেটা হচ্ছে একটা ভেন্ডর। আর মেটার প্রোডাক্ট হচ্ছে - ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো আরো কিছু ব্র্যান্ড। যা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। মার্ক জাকারবার্গ এর পক্ষ থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে - এর বৃস্তিতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাদেও আরো নতুন কিছুর আগমনের সৃষ্টিকে বাড়িয়ে দেবে। যা এখনকার জায়গার চাইতেও সবকিছুকে প্রবল গতিতে চালিত করবে। 



    অনেকেই ভেবেছেন - সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর নাম পরিবর্তন হবে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত এই স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মগুলোর কোন নাম পরিবর্তন হচ্ছে না আর ভবিষ্যতেও হবেনা। শুধুমাত্র মালিকানাধীন মূল কোম্পানির নাম বদলাবে-আর তার নামই হলো মেটা।


    ফেসবুকের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করেছে তাদেরই এক বিশ্বস্থ কর্মচারী -যিনি আবার এই কাজটি করেছেন তার চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর। এ নিয়ে অবশ্য অনেক নেতিবাচক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও ফেসবুক তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে মেটা রেখেছে। সত্যি বলতে একজন ব্যক্তির কাছে একটা কোম্পানি কখনোই বন্দি নয়। সে যতই গুরুত্ব পূর্ণ কর্মচারীই হোকনা কেন।  


    এক ব্যক্তি নাম তার-ফ্রান্সেস, এই ভদ্র লোক ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন - ফেসবুক সামাজিকতার নামে নিরাপত্তার দিকে মনোযোগী না হয়ে শুধু কিভাবে বেশি মুনাফা অর্জন করবে সেই দিকে তাদের প্রাধান্য বেশি। 


    গুগল যখন ২০১৫ সালের দিকে তাদের কোম্পানির নাম বদলিয়ে অ্যালফাবেট রাখে। তখন এরকম হৈচৈ পড়েনি যদিও দিন বদলের দিকে এগিয়ে ফেসবুক বেশি জনপ্রিয় হওয়ার দরুনই একটু বেশিই আলোচনা হয়েছে।  


    মার্ক জাকারবার্গ তার মতামত ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছেন-আমি "মেটাভার্স" নামটা দিয়েছি মূলত আমার মূল কোম্পানির নাম হিসেবে। এটা এই কারণেই দিয়েছি যে, আমি মনে করি আমরা যা ভবিষ্যতের জন্য করতে চাচ্ছি তা এই নামের সাথে সম্পৃক্ত। যা সবাই একটা নতুন অনলাইন দুনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে। 


    তিনি আরো বলেছেন- আমরা মনে করেছি আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমরা যে পরিবর্তন আন্তে চাচ্ছি তাতে ব্যবহারকারিরা সহজেই বিভিন্ন কাজ করা, গেইম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি সবাই এক নতুন পৃথিবীর সাথে মিতালি ঘটাতে। সবাই এটা নিয়ে মাতামাতি করলেও আমাদের এই পরিবর্তনটা খুবই দরকার। এক ভার্চুয়াল বার্তায়  তিনি আরো বলেন- দিন গড়িয়ে সময়ের সাথে সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে মেটাভার্স কোম্পানি হিসাবে গড়ে তুলবো। 


    মি. জাকারবার্গ বলেছেন- আমাদের চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা আমাদের ব্যবসাকে মূলত দুটি ভিন্ন অংশ হিসেবে মনে করছি। একটা হলো অ্যাপস ভিত্তিক আরেকটা হলো ভবিষ্যতের প্ল্যাটফর্ম। দ্বিতীয় অংশটাতে আমরা নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি। যা সময়উপযোগী করে তুলবো। আর এই কারণেই আমরা চাই একটা নতুন কোম্পানি করতে যেন সবাই জানে আমরা কি করি, আমরা কে, বা আমরা কি করতে চাই। 


    মেটা' শব্দের অর্থ কি ?

    গ্রীক শব্দ থেকে 'মেটা' শব্দটি এসেছে। এর অর্থ  হচ্ছে- "গন্ডির বাইরে" । মি. জাকারবার্গ ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে একটি নতুন সাইনবোর্ড উন্মোচন করে বলেন- সামাজিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহারকারীদের আর ফেসবুক ব্যবহার করতে হবেনা। মেটা তারই একটা প্রতিফলন। 


    ফেসবুক ফলাও করে বলতে চাচ্ছে তারা- ২০২২ সল্ থেকেই পুরোদমে এমভিআরএস-এর মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন পাবলিকের মাঝে শুরু করতে চায়। একজন বাইরের মানুষের কাছে মেটাভার্স দেখতে অনেকটা ভিআর-এর মতো মনে হতে পারে। সর্বোপরি এটা ইন্টারনেটের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হতে যাচ্ছে।  


    মেটাভার্স  এমন যুগের আবির্ভাব ঘটাতে চায় যেখানে সবাই  কম্পিউটারের  কাজ করার পরিবর্তে- ভার্চুয়াল জগতে হেডসেটের দ্বারা কাজ করবে। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী যে, এই জগতের মাঝে মানুষ- কাজ, খেলা, কনসার্ট বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে আরো স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। 


    Tag: #meta #fbmeta #what_is_meta
    নবীনতর পূর্বতন